ট্রাম্পের আগ্রাসী পদক্ষেপে সার্বভৌমত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কানাডা। এরমধ্যেই অটোয়াকে সমর্থন জানাতে ৬৮ বছর পর দেশটির পার্লামেন্টে অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দিলেন ব্রিটেনের রাজা। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা কিংবা স্পিকার।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে কানাডীয় জনগণ ও তাদের সার্বভৌমত্বের অধিকারকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। জানান, মুক্ত ও শক্তিশালী অটোয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে লন্ডন। যদিও কার জন্য কানাডার সার্বভৌমত্বে হুমকি তৈরি হয়েছে, তা উল্লেখ করেননি রাজা।
ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস বলেন, ‘বর্তমানে কানাডা খুবই সংকটময় মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, আইনের শাসন, আত্মসংকল্প ও স্বাধীনতা এমন কয়েকটি মূল্যবোধ, যা কানাডীয়রা ধারণ করে। একে রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর।’
দুই দিনের সফর সমাপ্তির আগে কানাডার বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা ও নিদর্শন পরিদর্শন করেন রাজা চার্লস। সঙ্গে ছিলেন রানী ক্যামিলা। মিলিটারি প্যারেডের মাধ্যমে রাজাকে বরণ করে নেন অটোয়াবাসী। কানাডীয়দের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন চার্লস। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সৈনিকদের স্মৃতিস্তবকে।
এর আগে রাজ দম্পত্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী। পরবর্তীতে যোগ দেন কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রিভি কাউন্সিলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। রাজার সফরকে সফল হিসেবে উল্লেখ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
তিনি বলেন, ‘এটি অন্যতম সফল সফর। কানাডীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিমত্তাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে। তিনি আমাদের কানাডারও রাজা। তাই দেশের সকল প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আদিবাসী, সুপ্রিম কোর্ট ও সামরিক বাহিনীও তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিল।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, আদিবাসীদের গানের সুর যেমন মুগ্ধ করেছে রাজাকে। ঠিক তেমনি তৃতীয় চার্লসের সমর্থনে ব্রিটিশদের প্রতি আস্থা বাড়লো কানাডীয়দের।