ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার। এসময় তাকে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অভিযানে বের হয়। এ সময় জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ লঙ্ঘনের দায়ে পাঁচ ট্রাক ও বাস চালককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ ৯টি অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস বলেন, ‘যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না কেউ। দেশের অধিকাংশ যানবাহনেই হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণভাবে মানুষ ৪০-৪৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দই ভালো শুনতে পায়। তারচেয়ে বেশি মাত্রার শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তিসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। অথচ দেশের ৮০ শতাংশ যানবাহনে এখনো ব্যবহার হচ্ছে হাইড্রোলিক হর্ন। যা ১০০ ডেসিবলেরও বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে থাকে। তাই শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’