মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দেলুয়ারা বেগম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ মে ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীসহ অন্যান্যদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিল স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণ। এসময় প্রেমনগর গ্রামের বাসিন্দা শামছুদ্দীনের ছেলে মো. কাওসার মিয়া প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষোভে পথরোধ করে মুক্তিকে দিবালোকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
মুক্তি রানী বর্মণ একই এলাকার জেলে নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। সে প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। কাওসার দীর্ঘদিন থেকে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু কাওসারের প্রস্তাবে মুক্তি সাড়া না দিয়ে প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয় কাওসার।
এরপর পরিকল্পিতভাবে ২৩ সালের ২ মে বিকালে স্কুল থেকে ফেরার পথে পিছন থেকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা এসে মুক্তিকে উদ্ধার করে দ্রুত বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ওই দিন রাতেই মুক্তির মৃত্যু হয়।
পরে বাবা বাদী হয়ে কাওসারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কাওসারকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে আসামির উপস্থিতিতে আদালত বিচারক এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম জানান, মামলার দুই বছরের মধ্যে এরকম একটি রায় হওয়ায় তাদের বিচার প্রত্যাশীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে।