ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ‘২২০ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’ ও ‘সবার তালিকা চেয়েছেন’—এমন মন্তব্যে মামলার সাক্ষীরা ভয়ভীতি অনুভব করে, যা বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছে। এর প্রেক্ষিতে বিচার কার্যকরী ও প্রমাণিত হওয়ায় রায় কার্যকর হবে গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকেই।
এ ছাড়াও, একই মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই–আগস্টের গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তারা হত্যার হুমকি দিয়েছে—এটার প্রমাণ হিসেবে সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। গত ২৫ অক্টোবর গাইবান্ধা থেকে শাকিল আকন্দের সঙ্গে টেলিফোনাল কথোপকথনে ২২৭ জনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, এরপরই মামলা দায়ের করা হয়। যেদিন তারা গ্রেপ্তার হবে, সেদিন থেকেই সাজা কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং শুনে ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি প্রমাণিত মেনে নেয়। ট্রাইব্যুনাল–১ এ পলাতক অবস্থায় বিচার কার্যকর হয়।