শুনানির শুরুতে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো ছিল সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক। জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ এ ব্যবস্থা বাতিল করায় নির্বাচনব্যবস্থায় ধস নামে। এর ফলে ‘‘দিনের ভোট রাতে’’, ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন এবং বহু সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
এর আগে, সোমবারের শুনানিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রায়ের নানা ত্রুটি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। তাদের দাবি, এ রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে মত দেয়া চারজন বিচারপতিই পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি হন। আর একই বেঞ্চে যারা এর পক্ষে ছিলেন, তারা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন।
এদিকে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এখন রিভিউ আবেদনকারীর আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি চলছে।