আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ ও ভৈরব অংশের পৃথক দুইটি বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে। দুই ইজারাদার একে অপরের বিরুদ্ধে সীমানা লঙ্ঘন করে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করে আসছিলেন। এর প্রেক্ষিতে আশুগঞ্জ ও ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুই পক্ষকে তাদের সীমানা বুঝিয়ে দেন।
এরপরও ভৈরব অংশের ইজারাদার তারেক সীমানা লঙ্ঘন করে আশুগঞ্জ অংশ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। এছাড়াও মেঘনা নদীর চরসোনারামপুর এলাকায় থাকা জাতীয় গ্রিডের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকি তৈরি হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ ছড়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন:
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব অংশের ইজারাদার তারেক পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। এ সময় ইউএনও ছড়া পাঁচটি ড্রেজার ও পাঁচটি বাল্কহেড জব্দসহ বালু উত্তোলনে জড়িত দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
পরবর্তীতে জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড নিয়ে ফেরার পথে ইজারাদার তারেক ও তার সহযোগীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যদের ওপর চড়াও হন।
এক পর্যায়ে ইউএনও ছড়াসহ অন্যদের বহনকারী ড্রেজারটি জোরপূর্বক ভৈরবের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ইউএনও ছড়াসহ অন্যরা একটি স্পিডবোটে উঠে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, ‘আমিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা অন্য সদস্যরা একটি ড্রেজারে করে আসছিলাম। এ সময় ইজারাদার তারেক ও তার কয়েকজন সহযোগী জোরপূর্বক আমাদেরসহ ড্রেজারটি ঘুরিয়ে ভৈরবের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের নিয়ে যাওয়া একটি স্পিডবোটে উঠে আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। ড্রেজারটি ছিনিয়ে নেয়ার সময় ইজারাদার তারেক ও তার সহযোগীরা আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার এজহার জমা দেয়া হয়েছে।’
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি মামলার এজহার দেয়া দেয়াছে। মামলাটি নথিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’