বাদীর অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন স্মারক নং ৫৮,০৪,০০০০,০২৮,০৫,০০১,২৫-২৭৯ অনুযায়ী তাকে দেশের সকল কারাগারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত চিঠির কপি সকল কারাগারে পাঠানো হয়। এতে বাদী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন এবং তার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাদী শেখ আব্দুল অমিক আদালতে বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা হিসেবে তাকে দেশের সব কারাগারে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা অন্যায় ও বেআইনি। এ ঘটনায় বাদী গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে মহাপরিদর্শককে প্রতিবাদ পত্র দেন এবং পরবর্তীতে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। প্রতিবাদ পত্র ও লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার পরও বিবাদীপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারণে তিনি আদালতে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম আবুবকর সিদ্দিক আদালতে বলেন, ‘আমার মক্কেল একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। তাকে বেআইনিভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপমানিত করা হয়েছে। এজন্য মানহানির ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে জারি করা এক আদেশে তাকে দেশের সব কারাগারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে তিনি সম্মানহানি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এজন্য তিনি ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদী। আদালত নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিলের জন্য আদেশ দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাদীপক্ষ সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিল করার পর আদালত বিবাদী পক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দেন। আদালত আগামী ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের জিপি (সরকারি কৌশলী) অসীম কুমার মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। মহাপরিদর্শকের পক্ষ হতে কেন এ ধরনের আদেশ দেয়া হয়েছিল তার যৌক্তিকতা তিনি আদালতে উপস্থাপন করবেন। মামলাটি বর্তমানে সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।’