বিলাসিতায় ডায়মন্ডের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ধনীরা তো বটেই প্রণয়ে মজে প্রেয়সীকে সাধ্যের বাইরে গিয়েও অনেকে উপহার দেন হীরার আংটি। যাতে প্রেম রয়ে যায় অসম্পূর্ণ। তাই এর ক্রেতা চাহিদাও তুঙ্গে। যা এ ধাতুকে আরও মূল্যবান করে তুলেছে।
প্রাকৃতিক কারণেই হীরা বিরল প্রজাতির একটি খনিজ। কারণ ভূপৃষ্ঠে লাখ লাখ বছরের তীব্র তাপ ও চাপে এটি তৈরি হয়। তাই সহজাতভাবে এ খনিজ সম্পদটির সংকট রয়েছে। দাম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।
খনন করা হীরা থেকে যেটুকু রত্ন হিসেবে পাওয়া যায় মূলত সেটি দিয়েই গয়না তৈরি করা হয়। আর খননের পর রত্ন খুব কম পাওয়া যায়। তাই এ খনিজটির সরবরাহে অপ্রতুলতা রয়েছে।
পৃথিবীর প্রতিটি খনি থেকে হীরা খনন করা যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনই ব্যয়সাধ্য। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের পাশাপাশি ভারী যন্ত্রপাতি ও দক্ষ শ্রমিকের দরকার হয়। যেখানে খরচ করতে হয় মোটা অংকের তারল্য। আবার বিশ্ববাজারে ডায়মন্ডের সরবরাহ বেশ নিয়ন্ত্রিত। বলা যায় এটি হীরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কৌশল। কারণ এতে বাজারে রত্নটির অভাব লেগেই থাকে।
অন্যদিকে একটি ডায়মন্ডকে কেটে ও পলিশ করে প্রয়োজন মতো তৈরি করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। তাই বাড়তে থাকে দামের পরিধি। আবার ডায়মন্ড কোম্পানিগুলোর বিপণন ও ব্র্যান্ডিয়ের প্রচেষ্টা এটির মূল্যকে লাগামহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
গুণগত মানের দিকে থেকে হীরা অনন্য। নির্ভুলতার সাথে এটি কাটা হয়, তাই এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বচ্ছতা বজায় থাকে। সেই সঙ্গে ডায়মন্ডের কালার ও এর ওজন মূল্যকে প্রভাবিত করে।
অন্যদিকে হীরার খনি বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। হরহামেশাই এটি শোনা গেলেও অনেকেই জানেন না যে পৃথিবীর কোন কোন জায়গায় এই হীরের খনি রয়েছে।
বিশ্বে মোট হীরার খনির সংখ্যা ১৪৫টির বেশি। ৫০টিরও অধিক খনি থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ হীরা উত্তোলন করা হয়। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, কঙ্গোউ, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি খনির মধ্যে ৫টির অবস্থান রাশিয়ায়। তবে সবার আগে হীরের এই খনি আবিষ্কৃত হয় ভারতে।
সৌখিনতায় মোড়ানো হীরে অনুপম এক বস্তু। যার প্রতি পরতে লেগে আছে শখ, আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া-পাওয়ার প্রাচুর্যতা। তবে এক জীবনে ডায়মন্ড নামক দুর্লভ বস্তুটি ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পায় না অনেকেই।