বগুড়ায় চালের দাম নিয়ে উদ্বেগ থাকে ক্রেতাদের

এখন জনপদে
বাজার
0

বাঙালির প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে চালের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তাই বাড়তি দাম নিয়ে উদ্বেগ থাকে ক্রেতাদের। অন্যান্য পণ্যের সাথে চালের দাম বৃদ্ধিতে অসহায়ত্বের কথা জানান স্বল্প আয়ের মানুষ।

স্থানীয় এক ক্রেতা জানান, 'আগে যে চাল ৪০-৫০ টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম তা এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।' আরেকজন জানান, ‘সংসারের টানাটানির মধ্যে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি। এই দামে চাল কিনে পাঁচ থেকে ছয় জনের সংসার চালাতে পারি না।'

মোকাম, মিলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতাদের বাড়তি দামে চাল কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে জাতভেদে চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৭ টাকা। মাসখানেকের মধ্যে চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, 'সব চালের দামই বেশি, আগে যে চাল ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছি তা এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।'

আরেক ব্যবসায়ী জানান, 'মোকামের দাম বেশি হওয়ার জন্য আমাদের বেশি দামে চাল কিনে তা বিক্রি করতে হচ্ছে। বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে চালের দাম।'

বাজারে বর্তমানে মণপ্রতি সরু ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩শ' টাকা আর সাড়ে ১১শ' থেকে ১২শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে মোটা ধান। এ দামে ধান কিনে আগের দামে চাল বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে দাবি মিল মালিকদের। এছাড়া দুই মৌসুমের মাঝামাঝিতে অনেক মিল বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।

মিল মালিকরা জানান, কৃষকদের চেয়ে আমাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে যার কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশিরভাগ মিল বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে, আবার সব মিল খুলে গেলে ও নতুন ধান পেলে বাজার স্বাভাবিক হবে।

বগুড়াতে এবার লক্ষ্যমাত্রার বেশি ধানের চাষ হয়েছে। এখন কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে এসব ধানের সরবরাহ বাড়বে। তখন চালের বাজার কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করে কৃষি অধিদপ্তর।

বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মশিদুল ইসলাম বলেন, 'বগুড়ায় যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হয় তাতে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরেও অতিরিক্ত থাকে। আমি আশা করি অতিদ্রুত চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল হবে।'

চলতি আমন মৌসুমে বগুড়ার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫শ' হেক্টর জমিতে উৎপাদিত ধান থেকে প্রায় ৭ লাখ টন চাল হবে। যেখান থেকে জেলার চাহিদা মিটিয়েও ২ লাখ টন বেশি থাকবে বলে ধারণা কৃষি বিভাগের।

এসএস