আজ (সোমবার, ৪ আগস্ট) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুইদিন আগে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়াও ১০০ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে আলু কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে ১৮ টাকায় আর প্রতি ৩০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা দরে, যা দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা দরে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিক বলেন, ‘সেদিন এক কেজি পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেলাম ৫০ টাকা দিয়ে, আজ এসে দাম শুনি ৭০ টাকা কেজি। আমাদের আয় বাড়ে না কিন্তু জিনিসের দাম বাড়ে। সরকারের কাছে অনুরোধ সব জিনিসের দাম যেন কমিয়ে দেয়।’
ডিম কিনতে আসা আজাদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হঠাৎ ডিমের দাম এসে শুনি বেশি। ডিমের দাম কম হলে আমাদের নিম্নবিত্তদের জন্য ভালো। কারণ আমরা তেমন মাছ মাংস কিনতে পারিনা।’
আলী হাসান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘হিলি বাজারে আজ এসে দেখি গত দুই দিনের তুলনায় সব জিনিসের দাম বেশি। ১৪ টাকা কেজির আলু কিনতে হলো ১৮ টাকায়। আবার ৯০ টাকা কেজির আদা কিনতে হলো ১৫০ টাকা কেজিতে। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কীভাবে কী করবো?’
আরও পড়ুন:
হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘দেশিয় পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে মোকামে দাম অনেক বেড়েছে। আগে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনলেও মোকামেই আমাদেরকে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, ফলে বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি অনেক কমে গেছে। আদার সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
হিলি বাজারের এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, ‘খাদ্যের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে খামার মালিকেরা ডিমের দাম বেশি নিচ্ছে। ফলে বেশি দামে ডিম কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ‘যেহেতু দেশের বাজারে দেশিয় পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে এবং দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়া হোক, যাতে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক করা যায়।’