আজ (রোববার, ৫ মে) বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়াকে ইতিবাচক বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। উল্টো এই নিত্যপণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত টন প্রতি যে ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে তার সঙ্গে আমদানি শুল্ক এবং পরিবহন খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে ৭২ থেকে ৭৩ টাকা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকতে পারে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে এরই মধ্যে আমদানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। কোরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি মেলায় সাধারণ ক্রেতা ও পাইকারদের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।
পাইকাররা বলছেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির কারণে বন্দর এলাকার বিভিন্ন মোকামে আবার ব্যবসা সচল হবে।’
অন্যদিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অনুমতি পেলেই চলতি সপ্তাহে বন্দর দিয়ে ঢুকবে ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে রপ্তানি মূল্য ও শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ‘আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে ভালো হবে। পাশাপাশি ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য যদি কমানো যায় তাহলে বাজারেও পেঁয়াজের দাম কম থাকবে।
হিলি স্থলবন্দরের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ) উপ-সহকারী ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমদানিকারকরা আবেদন করবেন। এজন্য আমরা সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।’
এর আগে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গেল বছরের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। প্রায় ৫ মাস পর শনিবার পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি।