আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) হিলি স্থলবন্দরে সরজমিনে দেখা যায়, বন্দর অভ্যন্তরে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ কেনা-বেচায় ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। কথা বলে জানা যায়, গেল সপ্তাহের বুধবার বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আর বৃহস্পতিবার সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর চলতি সপ্তাহের আজ শনিবার প্রথমদিন কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। তবে গরমের কারণে কাঁচা মরিচ পচে যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী রফিক বলেন, ‘আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে কাঁচা মরিচ ক্রয় করে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাই। কয়েকদিন থেকে কাঁচা মরিচ ভালোই আমদানি হচ্ছে। দাম কম হলে আমাদের জন্য ব্যবসা করতে ভালো হয়। আজকে ১১০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি।’
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক সাহাবুল হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দরে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। আমদানি হলেও তেমন ক্রেতা নেই বন্দরে। এছাড়াও আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ গরমের কারণে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ১৮০ টাকার কাঁচা মরিচ বাধ্য হয়ে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। আমদানি বাড়লে কাঁচা মরিচের দাম আরো কমে আসবে।’
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম.আর.জামান বাঁধন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকৃত প্রতি টন কাঁচা মরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে যাতে প্রতি কেজি শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আমদানিকৃত সকল ধরনের কাঁচা পণ্য দ্রুত ছাড়রকরণে ব্যবসায়ীদের কাস্টমসের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসের শুরু থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত ভারতীয় ১৬৯ ট্রাকে ১ হাজার ৩০৮ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।