দুই বছরের নাতনি মারিয়াকে নিয়ে কুমিল্লা থেকে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আসছেন শাজেদা বেগম। মারিয়া বেশ কিছুদিন ধরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ছিল।
শাজেদা বেগম বলেন, 'নাতনির জ্বর ও ঠান্ডা কমছে না, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট আছে। আগেই ওষুধ দিয়েছিলো। আবার নতুন করে ডাক্তার ওষুধ দেবে।'
এক নবজাতকের মা বললেন, 'ওষুধ খাওয়ালে কিছুক্ষণ জ্বর কমে। আবার জ্বর চলে আসে।'
এদিকে বয়স্ক অনেকেই নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, অ্যাজমা ও অ্যালার্জিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যেখানে রোগীদের সুস্থতা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন স্বজনরা। তারা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ জ্বর-কাশি নিয়ে আসলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে অধিকাংশের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে। মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি মৌসুমি রোগ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বলে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'শীত আসলে সাধারণত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এজন্য আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।'
বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেও রাজধানীসহ দেশজুড়ে এখনও ডেঙ্গুর প্রকোপ থামেনি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত রেকর্ড দেড় হাজারের বেশি মানুষ মশাবাহিত এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন।