মানিকগঞ্জে জমে উঠেছে পুরনো শীতের কাপড়ের হাট

মানিকগঞ্জ
দেশে এখন
0

শীত ঘিরে চাহিদা বাড়ছে গরম কাপড়ের। উচ্চবিত্তরা নামিদামি শপিংমলে ভিড় করলেও নিম্নবিত্তদের ভরসা পুরোনো শীতের কাপড়।মানিকগঞ্জের সিংগাইর হাটে জমে উঠেছে পুরোনো শীতবস্ত্র বেচাকেনা। এখানকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকায় মিলছে বিভিন্ন বয়সী মানুষের শীতের কাপড়। পুরাতন কাপড়ের পাশাপাশি মেলে নতুন কাপড়ও। তাই কম দামে ভালো কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, 'শীতের পোশাক অল্প দামে পাওয়া যায়। তাই এখানে কাপড় কিনতে এসেছি। এখানে শীতের কাপড় না পাওয়া গেলে আমাদের খুব কষ্ট করতে হতো। মার্কেটে যে কাপড় ২০০ টাকায় পাওয়া যায়, তা এখানে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় মেলে।'

নতুন কাপড়ের দোকানে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের ভিড় বেশি। পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমে নিম্নবিত্তদের। খোলা আকাশের নিচে বসে ২০০ থেকে ২৫০ টি দোকান। প্রতি হাটে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার শীতের কাপড় বিক্রি হয়।

কয়েকজন বিক্রেতা জানান, শীত যত বেশি হবে বিক্রির পরিমাণ তত বাড়বে। নিম্ন আয়ের মানুষরা এখান থেকে কাপড় বেশি নেয়। প্রতি হাটে আমাদের এখানে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিক্রি হয়।

আরো পড়ুন:

ক্রেতারা অভিযোগ করেন, বাজার জমে উঠলেও গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি।

একসময় ধান ও পাটের জন্য মানিকগঞ্জের সিংগাইর হাটের খ্যাতি ছিল। এখন পুরোনো কাপড়ের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সিংগাইর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি হাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, 'এখানে একটু কম দামে পাওয়া যায়। নিম্নবিত্তরা এসব দোকানে এসে কেনাকাটা করে।'

শীতের তীব্রতা বাড়লে হাটে বাড়ে বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের সমাহার।

এসএস