শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে 'মানবাধিকার সুরক্ষায় প্যানেল আইনজীবীগণের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'রাজনৈতিক কর্মীর যেমন মানবাধিকার আছে তেমনি পুলিশেরও আছে। পুলিশও মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না। একইভাবে রাজনৈতিক কর্মীও পুলিশের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না।'
কেউ যদি দীর্ঘ ২০-২২ বছর কারাগারে আটক থাকে অথচ বিচার হচ্ছে না, তাহলে তার ওপর কি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। এ ব্যাপারেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান 'বর্ডার ট্রাইব্যুনাল' গঠন করার তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের বিচার প্রাপ্তির পথ সহজ ও সুগম করার লক্ষ্যে কমিশন দেশের ৬৪ জেলার প্রায় আড়াইশ' বিজ্ঞ আইনজীবীর সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করেছে।
তিনি বলেন, 'প্যানেলভুক্ত আইনজীবীরা যাতে মানবাধিকার সুরক্ষায় অর্পিত দায়িত্ব এবং করণীয় সম্পর্কে জানতে পারেন, সেজন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।'
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা।