রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের চিত্র ঈদের তৃতীয় দিনের। হাতে ব্যাগ আর কমিউটার ট্রেনের টিকিট বিক্রির ভিড়ই বলে দিচ্ছে ঢাকা ছাড়া মানুষের চাপের কথা।
ঘরমুখো মানুষের এই চাপ দেখা যায় বুধবার সকাল থেকেই। অনেক যাত্রীই আগেভাগে এসে বসে থাকেন প্লাটফর্মে। কর্মস্থল থেকে ছুটি পাওয়া আর ভোগান্তি এড়াতে ঈদের পর যাত্রা বেছে নিলেও এড়াতে পারেননি ভিড়ভাট্টা।
বাড়িমুখী মানুষের মধ্যে একজন বলেন, 'ঈদে চাপ হয়, সেজন্য দেরিতে যাচ্ছি। কিন্তু আজকেও এসে দেখি একই অবস্থা।'
অন্য একজন বলেন, 'রিল্যাক্সে যাওয়ার জন্য ঈদের তিনদিন পর যাওয়ার সিদ্ধান্ত। কিন্তু মোটামুটি ট্রেন লেট এবং যথেষ্ট ভিড় আছে এখনও।'
এদিন ঈদ ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদেরও উপস্থিতি দেখা যায় রেলস্টেশনে। ভোগান্তি এড়াতে ছুটি শেষের আগেই আসার কথা জানালেন অনেকে।
ঢাকায় ফেরা মানুষদের মধ্যে একজন বলেন, 'ঈদের তিনদিন আগে গেছিলাম বাড়িতে। এখন আগেই চলে আসছি কারণ আরও পরে আসলে তো যানজট পড়বে। যাত্রাপথে ট্রেন মোটামুটি শিডিউল মাফিক ছেড়েছে। ওইটা নিয়ে কোনো ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি। আর টিকিটেো কোনো কালবাজারি ছিল না।'
ফিরতি'র চেয়ে এখনও রাজধানী ছাড়া যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি জানিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, ভবিষ্যতে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বাড়লেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে রেল ভ্রমণ।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, 'যাওয়ার এবং আশার দুইদিকেই চাপ আছে। আগামী দিন থেকে হয়তো যাওয়ার চাপটা কমে যাবে, সার চাপ বাড়তে থাকবে। এবং সেক্ষেত্রে আমাদের আগের মতোই সকল ধরনের প্রস্তুতি আছে। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ট্রেনগুলো যেন সঠিক সময়ে ছেড়ে যেতে পারে এবং সঠিকসময়ে আসতে পারে সেজন্য প্রস্তুতি প্ল্যান সবকিছুই আমাদের আছে।'
এদিকে ট্রেনের মতো সড়ক পথেও দেখা যায় একই চিত্র। যানজট এড়াতে ঈদ উদযাপন শেষে আগেই ঢাকায় ফেরার কথা বলছেন বাসযাত্রীরা।
এবারের ঈদযাত্রায় সকল পথেই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ যাত্রার কথা বলছেন মানুষ।