নিহত হাফিজুল ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর ইউনিয়নের পাঠানগড় গ্রামের মিয়াজী বাড়ির বাসিন্দা মৃত হারেস আহম্মেদে সন্তু মিয়ার বড় ছেলে। তিনি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোডাউন রেলগেট অতিক্রম করার সময় সড়কে আটকে পড়া একটি সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। সিএনজিটি ওই সময় যানজটে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। ধাক্কা খেয়ে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে থাকা তিনজনই গুরুতর আহত হন।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হলে পথিমধ্যে তিনি নিহত হন। আহত সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে।
রেলের গেটম্যান বাবু বলেন, ‘৭টা ২০ মিনিটে আমি গেট বন্ধ করি। কিন্তু অপর দিক থেকে রংসাইড দিয়ে অনেক গাড়ি আসায় যানজট সৃষ্টি হয়। একটি সিএনজি রেললাইনের ওপর আটকে যায়। বারবার সরাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ট্রেনটিকে লাল সিগনাল দিয়ে থামাতে চাইলেও দূরত্বের কারণে সম্ভব হয়নি।’
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রায়হান উদ্দিন বলেন, “ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের একজন হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। অপরজনের মাথা ও পায়ে মারাত্মক জখম রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম রেফার করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুজ্জামান জানান, ট্রেন-সিএনজি সংঘর্ষে একজন নিহত, দুইজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। পুলিশ সেখানে গেছে।অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা রেলগেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।