পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেস উইংয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকের সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। বিশেষ করে ভিসা সুবিধা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে আমিরাত সরকারের সঙ্গে তার একাধিক মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের জন্য।
এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য একসঙ্গে বহু ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা ব্যক্তি পর্যায়ের যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরো গতিশীল করেছে বলে বৈঠকে উঠে এসেছে। রাষ্ট্রদূত জানান, আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় আবারো অনলাইনে দক্ষ কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান ভিসা দিতে পোর্টাল চালু করেছে।
ফলে দেশটিতে মার্কেটিং ম্যানেজার, হোটেল স্টাফসহ বিভিন্ন পেশার জন্য গত কয়েক সপ্তাহে ভিসা দেয়া শুরু হয়েছে বলে জানানো হয় বৈঠকে। এরই মধ্যে ৫০০ নিরাপত্তারক্ষীর ভিসা ইস্যু এবং আরো অন্তত এক হাজার ভিসা অনুমোদিত হয়েছে, যা শিগগিরই ইস্যু করবে আরব আমিরাত।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যাশা, ধাপে ধাপে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ আরো শিথিল করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আবদুল্লাহ আলি আল হুমুদি জানান, মানবিক ও বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সুপারিশকৃত মামলাগুলোয় নমনীয়তা বজায় রাখা হবে।
বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূতের মনোভাব ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি জানান, দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে চলতি মাসে উচ্চ পর্যায়ের ইউএই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরব আমিরাতের সঙ্গে সংযোগ আরো জোরালো হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, অভিবাসী হিসেবে ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমিরাতে গেছেন আড়াই লাখেরও বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক।