সোমবার (৫ মে) গভীর রাতে গেন্ডারিয়া ও শ্যামপুর এলাকার দুইটি গুদামে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। উদ্ধার করা হয় অবৈধভাবে মজুত রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের প্রায় কয়েকশ আটা ও চালের বস্তা।
মূলত আর কে এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানে, গোপনে খাদ্য অধিদপ্তরের ট্যাগযুক্ত বস্তার মোড়ক পরিবর্তন করে নুরানি আটা ও নুরজাহান চাল নামে ছড়িয়ে দেয়া হয় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। বিক্রি করা হয় চড়া দামে।
অভিযানে দুটো গুদাম থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ৬৫০ মন আটা ও প্রায় ৪০০ মন চাল। সরকারি ট্যাগযুক্ত এত পরিমাণ পণ্য কীভাবে এখানে এলো তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি অভিযানে অংশ নেয়া খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
ঢাকা-২ এলাকার রেশনিং কর্মকর্তা চিন্তা মনি তালুকদার বলেন, ‘বস্তা গোপনে নিয়ে এসেছে। সব বস্তা একদিনে আনে নাই। আরে এইটা একদিনে কাজ করে নাই। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এইটা করেছে তারা।’
অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় গুদামের মালিক ও কর্মচারীরা। তবে এই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত করে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
লালবাগ সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হক বলেন, ‘খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা থেকে তারা অন্য নামে আরেক বস্তায় খাদ্যগুলো প্যাকেট করে বাহিরে বিক্রি করছে।’
অজেয়-৪, ৪৬ ব্রিগেডের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মামুন বলেন, ‘এই চক্র অনেকদিন ধরে কাজ করছিল। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’
এসময় গেন্ডারিয়ার এলাকার একটি দোকান থেকে কয়েকশ বোতল অবৈধ আয়ুর্বেদিক ওষুধ জব্দ ও জড়িত একজনকে আটক করে যৌথবাহিনী।