সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা এবং নিবন্ধন সম্পূর্ণ বাতিল করা। আওয়ামী লীগের সব সহযোগী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিগত সাড়ে পনেরো বছরের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী হিসেবে কাজ করে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি। এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোও দায়মুক্তি পেতে পারে না। এসব দলেরও নিবন্ধন বাতিল, নিষিদ্ধকরণসহ বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করার মাধ্যমে ইন্টেরিম সরকার একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা স্বাগত জানাই।
তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা এবং নিবন্ধন সম্পূর্ণ বাতিল করা। সাময়িক স্থগিতাদেশ সেই দাবির পূর্ণ প্রতিফলন নয়।
তারা বলেন, আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র অবিলম্বে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে জুলাই ঐক্য কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সব দাবি আদায়ে এগিয়ে যাবে।
এসময় তারা বিডিআর হত্যাকাণ্ড, ২৮ ফেব্রুয়ারির গণহত্যা, শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র গণহত্যা বিচারের দাবি জানান।