তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে যে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা দীর্ঘ সংগ্রাম—জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রকাশ। সেই সঙ্গে মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে—তারা চায় না ফ্যাসিবাদী উত্থান হোক।’
আলী রিয়াজ আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে পারি, যেখানে সকলের সমান অধিকার থাকবে, নাগরিকদের অধিকার সুনিশ্চিত হবে। শুধু ভিন্নমত সহ্য করাই নয়, বরং তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।’
তার মতে, লক্ষ্য হওয়া উচিত—রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংস্কার কমিশনের পাঠানো সুপারিশের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলে বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর পথরেখা তৈরি করা।
তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের কাজ যেন একটি জাতীয় সনদের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়, যাতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল সেই উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মত, দ্বিমত বা ভিন্নমত থাকবেই। তবে মৌলিক বিষয়ে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য থাকা জরুরি। শুধু দেশের শাসন কাঠামোতেই নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সংগ্রাম ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্যেও পরিবর্তন আনতে হবে।’