ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘অস্থিতিশীল থাকা অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। পরিস্থিতি অনুকূল হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নিবে আরাকান আর্মি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সচিবালয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘রাখাইনে করিডর নিয়ে কারো সাথে কোনো কথা হয়নি, হবে না। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। আরাকান করিডরের কোন প্রয়োজন নাই।’
তিনি বলেন, রাখাইন অঞ্চলে খাদ্য ও ওষুধের অভাব। সেখানে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার না পেয়ে নতুন করে রাখাইন ও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। একটা চ্যানেলের মাধ্যমে জাতিসংঘ তার বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে মানবিক সাহায্য, ত্রাণ পৌঁছে দিবে। কোনো মানুষ চলাচল করবে না।’
খলিলুর রহমান বলেন, আরাকান আর্মিকে বলে দেয়া হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাখাইন রাজ্য পরিচালনা করতে হবে। রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। সকল কূটনীতিক ও অনন্য চ্যানেলে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সাহায্য চাইলে বিবেচনা করবে বাংলাদেশ। আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন করতে থাকলে কোনো আলোচনা হবে না।’
ত্রাণ সরবরাহের যে চ্যানেল তার পুরো নিয়ন্ত্রণ জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন,
বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে মাদক, অস্ত্র যাচ্ছে কি না, দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলাদেশ। আরাকান আর্মি ও বিমান বাহিনী সশস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ না করলে ত্রাণ সহায়তা যাবে না।’