সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে আমিনবাজারের সালেহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অন্তত ১০টি স্থানে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। মহাসড়কের উভয় পাশে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা বর্জ্যের কিছু অংশে জ্বলছে আগুন। বিষাক্ত ধোয়ায় বিঘ্ন ঘটছে পথচারীসহ চালক ও যাত্রীদের। দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন সড়কটির ব্যবহারকারীরা।
এক অধিবাসী বলেন, রাস্তার পাশে যেভাবে ময়লা ফেলছে যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, বমি চলে আসে। আরেকজন জানান, ময়লা ফেলার জন্য এটা ছাড়া আর জায়গা নেই।
এদিকে মহাসড়কে ময়লা ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় সড়কের পাশেই ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই ধারে দিনের পর দিন ময়লা আবর্জনা ফেলা ও তা পোড়ানোর কারণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়াও রয়েছে অগ্নি দুর্ঘটনার শঙ্কা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং অগ্নির দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো, সালাউদ্দিন খান নঈম বলেন, ‘আমিনবাজার থেকে শুরু করে এদিকে চন্দ্রা পর্যন্ত যান, এটা গোটাটাই একটা ময়লার ভাগাড়, পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণে পরিণত হয়েছে। এসব ময়লা স্তূপ করে আবার পোড়ানো হচ্ছে। পোড়ানোর কারণে অগ্নি দুর্ঘটনার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি পোড়া ময়লার গন্ধে ব্যাপক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
অবৈধভাবে মহাসড়কের পাশে যারা ময়লা ফেলছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে যত্রতত্র ময়লা না ফেলার নির্দেশনা দেয়ার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে ময়লা ফেলবে তাদেরকে আমরা উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় সময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। তাদের যাতে নির্বৃত্ত করা যায় পুলিশসহ আমাদের উপজেলা প্রশাসন সম্মিলিতভাবে ময়লা ফেলা রোধে কাজ করবো।’
মহাসড়কে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে রোডস অ্যান্ড হাইওয়েসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান স্থানীয়দের।