বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ আনুমানিক ভোর ৫টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত এবং শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানকালে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগজিন, ৫৩ রাউন্ড অ্যামোনিশন এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ সেভেন স্টার সন্ত্রাসী দলের নেতা এবং তালিকাভুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে অভিযানটি পরিচালনা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, অভিযান দলের দক্ষতায় কোনো ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এবং নাশকতা ছাড়াই অভিযানটি সম্পন্ন হয় এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। উক্ত সফল অভিযান বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফরমেশন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোনো ধরণের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
অভিযানের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া এবং হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। কোনো ধরণে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই অপারেশন পরিচালিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর দুইজন সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ। তারা কুখ্যাত সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জানমালের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট।’