রাজধানীর শেখেরটেকের রাজিয়া-ফয়সাল দম্পতি ঈদ ঘিরে ঘর সাজানোর আয়োজনে এরইমধ্যে নিয়েছেন ফ্রিজ। এবার খুঁজছেন পছন্দের স্মার্ট টিভি।
রাজিয়া বলেন, ‘নতুন নতুন কিছু জিনিস যোগ হয়েছে। যেমন দুই সপ্তাহ আগে এখান থেকেই ফ্রিজ নিয়েছি। আজকে টিভি নিলাম।’
বছরজুড়ে কমবেশি ফ্রিজের চাহিদা থাকলেও বিক্রি বাড়ে কোরবানির ঈদ ঘিরে। পুরো বছরের মোট বিক্রির অর্ধেকের কাছাকাছি বিক্রি হয় ঈদুল আজহার আগে-পরে।
দেশে স্থানীয় পর্যায়ে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ উৎপাদন শুরু হওয়ায় দাম ক্রেতাদের অনেকটাই নাগালে। কিস্তিতে কেনার সুযোগসহ ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ও মিলছে।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা ২০ শতাংশ ছাড় দিয়ে দিই। আবার হোম ডেলিভারি ফ্রি দিয়ে দিই।’
দেশে বছরে প্রায় ৩০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বিক্রি হয় দুই ঈদে। আর চাহিদার ৭০ শতাংশই গ্রামে। এ সুযোগে অনলাইনে নকল পণ্যও বিক্রে করছে অনেকে। প্রতারণা থেকে বাঁচতে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পণ্য কেনার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
দেড় দশকেই দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে ফ্রিজের বাজার। দেশে চাহিদা বাড়ছে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ হারে।
বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ফ্রিজের বাজারের আকার ১১ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা। ২০২৯ সাল নাগাদ ফ্রিজের দেশিয় বাজার হতে পারে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও এ বছর ফ্রিজসহ ঈদ ঘিরে ইলেকট্রনিক্সের বাজারে চাহিদা কমেছে বলে দাবি ডিলারদের।
ডিলারদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কোরবানির ঈদে সাধারণত ডিপ ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন বেশি চলে।’
ফ্রিজের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই পূরণ হয় দেশিয় কোম্পানির মাধ্যমে। দেশে বর্তমানে ফ্রিজ উৎপাদন করছে ১৩টি প্রতিষ্ঠান ।
গেল অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই লাখ ফ্রিজ রপ্তানি হয়েছে। ৪০টির বেশি দেশে ফ্রিজ ও এর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রপ্তানি হচ্ছে। যার সিংহভাগই রপ্তানি হয় ভারতে।