অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নেয়ার ১০ মাস পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ের সুযোগ এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সিলেটের ওসমানি বিমানবন্দরে যে সমস্যাগুলো হয়, সেগুলোর সমাধান যেন হয় আমরা সেই দাবি রাখি।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা আশা রাখি যে, উনি লন্ডনে আসার পর এখানকার প্রবাসীদের বিভিন্ন যে দাবিগুলো রয়েছে, সেগুলোর প্রতি তিনি গুরুত্ব দেবেন এবং সেগুলো পূরণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাজ্য জুড়ে নেয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি, চলছে সভা সমাবেশ। কমিউনিটি নেতারা মনে করছেন এই সফর বাংলাদেশের জন্য গর্বের ও গৌরবের।
প্রবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘উনি যে পুরস্কারটা পাচ্ছেন, সেটার জন্য অবশ্যই আমরা খুবই গর্ববোধ করছি।’
আরেকজন প্রবাসী বলেন, ‘তার এ সফরে আমাদের কমিউনিটি তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে এবং আমরা তার জন্য খুবই গর্বিত।’
চার দিনের এই সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন ড. ইউনূস। এসময় তিনি রাজার হাত থেকে নেবেন কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড।
সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ জুন ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।