দগ্ধরা হলেন, চামড়া ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন (৪৫), তার দুই মেয়ে ফারিয়া সুলতানা (৩) ও নাজিয়া সুলতানা রাফিয়া (৮) এবং দিনমজুর বেলাল হোসেন (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুসহ চারজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
বেলালের শরীরে ১৭ শতাংশ, জিয়ার ৪, ফারিয়ার ৫ ও রাফিয়ার ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধের পরিমাণ কম হওয়ায় তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত। তাই বেলাল বাদে বাকি ৩ জনকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা ভালো আছে। বেলালকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।
দগ্ধ জিয়া উদ্দিনের ভাগিনা এইচ.এম শাহপরান জানান, ট্যানারিমোড় এলাকায় নিজের দুতলা বাড়ি জিয়াউরের। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন বেলাল হোসেন। বাড়ির পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন বেলাল। পানির ট্যাংকের ঢাকনা সরিয়ে সেখানে অন্ধকার থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব লাগাচ্ছিলেন।
তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিয়া ও তার দুই মেয়ে। এসময় বিস্ফোরণ হলে চারজনই দগ্ধ হন। তাদেরকে উদ্ধার করে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে সেখান থেকে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।