আশুরা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা
দেশে এখন
0

পবিত্র আশুরার শিক্ষায় আত্মগঠন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা। আজ (রোববার, ৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসেন ও আতাউর রহমান সরকার, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য জিল্লুর রহমান ও ইউসুফ আলী মোল্লা প্রমুখ।

আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘পবিত্র আশুরা ইতিহাসের নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর সাক্ষী হলেও কারাবালার বিয়োগান্তক ঘটনা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর মোতাবেক ৬১ হিজরির ১০ মহররমে কারবালা প্রান্তরে বিশ্বনবীর (সা) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হযরত হোসাইন (রা) তার পরিবারের সদস্য ও সঙ্গীরা ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। যা বিশ্ব ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।’

তিনি বলেন, ‘মূলত, কারাবালার শিক্ষা হলো ত্যাগের শিক্ষা, অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত না করার শিক্ষা।’ তিনি কারবালার শহীদদের আদর্শ অনুসরণে আত্মগঠন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বাবস্থায় সকলকে ময়দানে আপোষহীন থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবীর (সা) আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভুল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।’

তিনি জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। অন্যথায় ফ্যাসিবাদ নতুন রূপে ফিরে আসবে।—প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এএইচ