তিনি বলেন, ‘বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও দেশীয় চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভারত, চায়না, আমেরিকাসহ অনেক জায়গায় আমাদের বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। তারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে চাচ্ছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তাকে আমরা একটা ভালো সংকেত হিসাবে দেখি। আমরা তাদের সম্মান করি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা যে প্রোটোকল নিয়ে আগাচ্ছি, এ প্রোটোকল নিয়েই সামনে আগাবো। এ ব্যাপারে কেউ যদি আমাদের পরামর্শ দেয়, আর তা যদি চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপকারী হয় তাহলে আমরা তা অবশ্যই বিবেচনা করবো।’
এ সময় তিনি জানান, ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে ৮ জন, সিভিয়ার ১৩ জন, ইন্টারমিডিয়েট ২৩ জন মিলে মোট রোগী ৪৪ জন রোগী চিকিৎসারত রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘প্রত্যেক রোগীর আলাদাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর চিকিৎসকদের বোর্ড আলোচনায় বসবে। সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দল কতদিন থাকবে এটা প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’
উল্লেখ্য, এর আগে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের বৈঠক হয়েছে। আজ (বুধবার, ২৩ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিঙ্গাপুর চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে ছিলেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চং সি জ্যাক। তিনি একজন অভিজ্ঞ বার্ন ও ট্রমা চিকিৎসক। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের পর্যবেক্ষণ করেন এ চিকিৎসক দলের সদস্যরা।