১৬ বছর মানুষের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে স্বৈরাচার সরকার: ফারুকী

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
দেশে এখন
0

জুলাই জাগরণে চার দিনব্যাপী কালচারাল ফেস্ট শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আয়োজন উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা। এসময় প্রেস সচিব বলেন, নতুন সাংস্কৃতিক যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে। আর সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, গেল ১৬ বছর মানুষের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার।

আয়নাঘরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের গল্প কারো অজানা নয়। যে বন্দিশালার ভয়ংকর চিত্র উন্মোচন হয় ৫ আগস্টের পর। সে আয়নাঘরে প্রবেশে দীর্ঘ লাইন। কেমন ছিল গুম হওয়া মানুষের ভয়ংকর সে দিনগুলো- তা দেখতেই দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে এ আয়নাঘর প্রতীকী।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে আয়নাঘরের মতো ফ্যাসিবাদের অসংখ্য নজির স্থাপন করা হয়েছে। যা মনে করিয়ে দিচ্ছে আধিপত্যবাদ সরকারের নিপীড়নের দিনলিপি।

একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষ যে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, আয়নাঘরের মাধ্যমে গুম করে রাখা হয়েছে সেটারই বাস্তব প্রতিচ্ছবি আমরা এখানে দেখছি।’

জুলাইয়ে শহীদ নাফিজের গুলিবিদ্ধ দেহ রিকশার পা দানিতে ঝুলে থাকা, শহীদ ইয়ামিনের রক্তাক্ত দেহ পুলিশের এপিসি থেকে রাস্তায় ফেলা আর লাশের স্তূপের দগদগে স্মৃতি যেন জীবন্ত এখানে।

চার দিনব্যাপী জুলাই জাগরণ কালচারাল ফেস্টে তুলে ধরা হয়েছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অসংখ্য স্মৃতি। যা দেখতে ঢল নেমেছে নানা বয়সী মানুষের।

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে দীর্ঘদিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে। এখন প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিপ্লব।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দয়া করে কেউ এটাকে বিনোদনের অংশ মনে করবেন না। বরং প্রতিটা রাজনৈতিক আন্দোলন বা বিপ্লবকে সমাজে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে সেখানে সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সাংস্কৃতিক বিপ্লব করতে হয়। সায়মন শিল্প গোষ্ঠী সে লক্ষ্যেই এ আয়োজন করেছে।’

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, কালচারাল হেজিমনির মাধ্যমে গেল ১৬ বছর মানুষের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে স্বৈরাচার সরকার। দেশের সংস্কৃতি এখন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হিসেবে পরিচিত হবে বলেও জানান তিনি।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘তারা এটাকে রাজনৈতিক শেপ না দেয়ার কারণে, হাসিনা তার সবচেয়ে যে বড় অস্ত্র মিডিয়া, সেটা দিয়ে আন্দোলনকে খুন করতে পারে নাই। যে কারণে আন্দোলন বড় গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে।’

আগামী ৪ আগস্ট শেষ হবে এ আয়োজন।

এএইচ