অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম সমাজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অবদান জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আলেমদের নেতৃত্বে, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। ধর্মীয় নেতারা শুধু মসজিদের মিম্বরেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, তারা রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন।’
তরা বলেন, ‘এ গণঅভ্যুত্থান কেবল গণআন্দোলন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘ শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পুনর্জাগরণ। ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা ও নৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আলেম সমাজ সে সময় গণআন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বর্তমান সময়েও এ ঐক্য ও সচেতনতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আবশ্যক।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী।