‘পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অশান্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ
দেশে এখন
0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অশান্ত করতে একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এরথেকে বাঁচতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আজ (শনিবার, ৯ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গ ও জাতীয় নিরাপত্তা ভাবনা শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শুধু ভাষার মাধ্যমে কোন জাতি গঠন হয় না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সবাইকে নিয়েই গঠিত হয় জাতি। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।’

বাংলাদেশর রাজনীতিতে স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে বলে নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির সময় এখন নয়। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিক্রি হয়েছে গেল ৫০ বছর। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনের বলেও জানান তিনি।

শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসী শব্দটি স্বীকৃত নয়, বরং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি সেই জনগোষ্ঠীর অধিকারের রক্ষা করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।

আরও পড়ুন:

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন ১৬৯-এর আওতায় আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীগুলো নিজস্ব অঞ্চল, সম্পদ, এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষাসহ তাদের বিশেষ অধিকারের কথা বলা রয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে এই জনগোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসন দাবি করতে পারে, এতে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তারা আলাদা জাতীয় পরিচয়ের দাবি করতে পারে। এতে দেশের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের ঐক্য দুর্বল হয়ে পড়বে। যা জাতীয় সংহতির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এসময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বলেন, আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে বিতর্কিত আদিবাসী প্রসঙ্গটি স্বীকৃত দিলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। ১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া এই দিবসের মূল লক্ষ্য বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জীবনসংগ্রাম, সংস্কৃতি ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলা।

সেজু