সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং উভয় দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে তাঁর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া, প্রধান বিচারপতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত সমর্থন আছে মর্মে ব্যক্ত করেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতি গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান, মামলায় বিবাদী পক্ষকে লিগ্যাল এইড প্রদানে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচার প্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান তার দেশের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের একচ্ছত্র সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।—বাসস