অবৈধ জাল ও জাটকা নিধন বন্ধ না হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন কমেছে: মৎস্য উপদেষ্টা

বরিশালে কর্মশালা
দেশে এখন
1

অবৈধ জাল ও জাটকা নিধন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ার কারণে এবং প্রাকৃতিক নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। আজ (সোমবার, ২৪ আগস্ট) উপকূলীয় এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হওয়া ও এর উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং সমাধান শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘কারেন্ট জাল ও অন্যান্য জালের কারণে ইলিশের প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি, অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরা বন্ধ করছি। আশা করি, ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়বে এবং দামও কমবে।’

এ সময় নদীর নাব্যতা, জলবায়ু পরিবর্তন, তথাকথিত উন্নয়ন সহ নানা প্রাকৃতিক কারণে ইলিশের উৎপাদন কমছে বলেও জানান তিনি। তবে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নানা ধরনের অভিযান পরিচালনাসহ শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। অন্যদিকে ইলিশের দাম নির্ধারণের ব্যাপারে নদী থেকে বাজারে আসার পরে যে হাত বদল হয় সেটা যাতে বন্ধ করা যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।

তিনি বলেন, ‘ইলিশের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণে নদী থেকে বাজারে আসা পর্যন্ত যেভাবে হাত বদল হয়, সেটি বন্ধ করার পরিকল্পনা আছে।’

আরও পড়ুন:

চারণ ভূমির ব্যাপারে পরিকল্পনা বিহীন ভাবেই অনেক কিছু গড়ে ওঠছে যা মোটেও কাম্য নয়। এর কারণে মহিষের মত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তবে সঠিক নীতি নির্ধারণী ব্যবস্থা নিতে পারলে চারণভূমি গুলোকে রক্ষা করা যাবে বলেও জানান উপদেষ্টা। এর মাধ্যমে মহিষের মাংস বাড়াতে পারলে দেশে মাংসের সরবরাহ বাড়ানো যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

কর্মশালায় গবেষক, পশু চিকিৎসক, বরিশাল বিভাগের জেলা-উপজেলা থেকে আগত খামারি ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সুফিয়ান ও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার (জিজেইউএস) নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ওমর ফারুক।

ইএ