তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি দীর্ঘদিন রাজপথে লড়াই করা আমাদের রুমিন আপাকে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ওনাকে নিয়ে বাজে কমেন্ট করা হচ্ছে। আমি আহ্বান জানাবো এ ধরনের চর্চা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কোনো রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা, নারীকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করা, শুধু মতপার্থক্যের কারণে সিলেক্টিভভাবে কাউকে আক্রমণ করা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্ন মত থাকবে এবং সেগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হবে। এবং আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছোট ছোট পার্থক্য ভুলে গিয়ে একটা বেটার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’
হাসনাত বলেন, ‘সদিচ্ছা থাকলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংস্কার ও বিচার সম্ভব। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্র নিজেই ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গুমের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু নির্বাচন নয়, গুমের ঘটনাগুলোর বিচার করাও এ সরকারের দায়িত্ব।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘সরকার নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতার পালাবদল করে হয়তো চলে যাবে, তবে গুমের শিকার হওয়া পরিবারের দায় তারা বহন করতে পারবেন কিনা তা তাদের বিবেচনা করতে হবে।’
অন্যদিকে স্থায়ী গুম কমিশন প্রতিষ্ঠা, নষ্ট হওয়া আলামত সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা। জারা বলেন, ‘রাষ্ট্র নাগরিকদের গুম করছে, আবার সকল শক্তি দিয়ে সেসব ঘটনা ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি স্থায়ী গুম কমিশন প্রয়োজন যেখানে সব রেকর্ডে তাদের একসেস থাকব এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।’