দুই ধাপে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ধারণাপত্র জমা দেবে। নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাছাইকৃত প্রতিযোগীরা দ্বিতীয় পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ নীতিপত্র প্রণয়ন করবে। পরবর্তী ধাপে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্রভাবে আয়োজন করা হবে চূড়ান্ত পর্ব, যেখানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা তাঁদের নীতিপত্র উপস্থাপন করবে।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নীতি প্রস্তাব গ্রহণযোগ্যতার বিচারে সরকারি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন:
প্রতিযোগিতার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ; গুজব প্রতিরোধে তরুণদের করণীয় ও বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি; দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংযোগ: জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি তরুণদের ভূমিকা; বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ: সম্ভাবনার ব্যবহার ও নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি; জুলাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: জাতীয় স্বার্থ ও বৈশ্বিক সম্পর্কের পুনঃসংজ্ঞায়ন; সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের পথে: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ; নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ: শিক্ষা ও দক্ষতার রূপান্তর; জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ; চতুর্থ শিল্পবিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগ ক্ষেত্র; এবং কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।
রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রে নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত তারুণ্যের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন আনতে হলে প্রয়োজন তরুণদের মননশীলতা, গবেষণাধর্মী চিন্তা ও উদ্ভাবনী সক্ষমতাকে নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা। জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ সেই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করতে যাচ্ছে।