ফেসবুকে ফারুকী লেখেন, ‘রাজাকারের আক্ষরিক অর্থের বাইরে রাজনৈতিক অর্থটা কী? রাজনৈতিক অর্থ হইলো এই যে, রাজাকার সেইসব ব্যক্তি যারা নিজের দেশ এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য দেশের হয়ে কাজ করে। এ সূত্র ধরে আগাইলে এসময়ে কাদেরকে রাজাকার মনে হয়?’
তিনি লেখেন, ‘জ্বী, যাদের ভাবছেন তারাই। কিছুদিন আগে আমার একটা লেখায় লিখছিলাম মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী দলটা কী করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হয়ে উঠলো? এটা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে একটা ইন্টারেস্টিং থিসিসের বিষয় হতে পারে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মানেটা কী?’

তিনি আরও লেখেন, ‘মানে যারা নিজের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অন্য কারও পায়ের নীচে বিকিয়ে দেয়। এ ১৬ বছরের মতো পরাধীন বাংলাদেশ আর কবে ছিলো? ফলে মানুষ এখন আওয়ামী লীগকেই সবচেয়ে বড় রাজাকার মনে করে। এ বাস্তবতায় রাজাকার কার্ডের পুরনো ব্যবহার যে খারিজ হয়ে গেছে এটা চব্বিশের ১৪ জুলাই সেটেলড হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন:
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘৪৭- এর নায়ক ৭১- এ ভিলেন, আবার ৭১-এর নায়ক ২৪-এর ভিলেন হয়ে যেতে পারে। কারণ সমসাময়িক বাস্তবতাই নায়ক বা ভিলেন নির্ধারণ করে দেয়। ৭১-এ যার যা ভূমিকা সেটা ওই রকমই থাকবে। কিন্তু ৭১ দিয়ে ২৪ এবং তৎপূর্ববর্তী ১৬ বছরের পাপ ঢাকা যাবে না। ৭১-এর শহিদরা ২৪-এর খুনিকে বাঁচাতে আসবে না।’