রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে একযোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলে এবারের গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ । মেধা তালিকায় দেশসেরা হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম শান্ত (রোল ২৪১৩৬৭১), দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে তাসনিয়া তৌফিক নাবিহা এবং তাহমিদুল আলম।
আরও পড়ুন:
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের সময়সীমা ও ফি (Medical Admission Test Result Re-scrutiny Timeline and Fee)
ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের (DGME) বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে:
- আবেদন শুরু: আজ (সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর)
- আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ২০ ডিসেম্বর
- আবেদনের মাধ্যম: কেবল টেলিটক সিমের মাধ্যমে এসএমএস (SMS)-এ আবেদন করা যাবে।
- আবেদন ফি: পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ১,০০০ টাকা (এক হাজার টাকা)
- ফল জানার উপায়: পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল আবেদনকারীকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: পুনঃনিরীক্ষার ফল আবেদনকারীকে যথাসময়ে জানানো হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত (Final Decision) বলে বিবেচিত হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের পদ্ধতি (MBBS Result Re-scrutiny Application Process)
১. প্রথম এসএমএস (আবেদন ও PIN নম্বর সংগ্রহ): টেলিটকের যেকোনো প্রিপেইড মোবাইল থেকে প্রথমে আবেদনকারীকে নিচের ফরম্যাটে একটি এসএমএস করতে হবে: DGME
২. দ্বিতীয় এসএমএস (ফি প্রদান ও চূড়ান্ত আবেদন): আবেদন ফি বাবদ ১০০০ টাকা প্রদানের জন্য, প্রাপ্ত PIN নম্বরটি ব্যবহার করে নিচের ফরম্যাটে দ্বিতীয় এসএমএসটি করতে হবে: DGME
মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন কীভাবে (re-examination of medical college admission results)
যদি কোনো পরীক্ষার্থী তার প্রকাশিত ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন বা পুনঃনিরীক্ষণের (Re-scrutiny) আবেদন করতে চান, তবে শুধুমাত্র মোবাইল এসএমএস-এর (Mobile SMS) মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
ধাপ (Step) প্রক্রিয়া (Procedure) উদাহরণ (Example) ১. প্রথম SMS আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন: DGHS RSC \<Roll Number\>। এটি ১৬২২২ নম্বরে পাঠান। DGHS RSC 123456 send to 16222 ২. পিন নম্বর প্রাপ্তি প্রথম এসএমএস পাঠানোর পর আপনার নম্বরে একটি পিন (PIN) নম্বর সহ ফিরতি মেসেজ আসবে। PIN: XXXXXX. To apply for re-scrutiny, send DGHS RSC YES XXXXXX to 16222. ৩. দ্বিতীয় SMS (নিশ্চিতকরণ) এবার দ্বিতীয় এসএমএসে আবেদন নিশ্চিত করতে টাইপ করুন: DGHS RSC YES \<পিন নম্বরটি\>। এটি আবার ১৬২২২ নম্বরে পাঠান। DGHS RSC YES XXXXXX send to 16222 ৪. ফি পরিশোধ পুনঃনিরীক্ষণের জন্য নির্ধারিত ১০০০ টাকা (One Thousand Taka) ফি আপনার মোবাইল ফোন থেকে কেটে নেওয়া হবে। আবেদন সফল হলে নিশ্চিতকরণ মেসেজ আসবে।
আরও পড়ুন:
ফল জানার অন্যান্য মাধ্যম (Other Platforms for medical college admission results)
ভর্তি পরীক্ষার ফল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েব সাইট , স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট , স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট ও টেলিটকের ওয়েবসাইট হতে জানা যাবে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের টেলিটকের ০১৫৫০১৫৫৫৫৫ নম্বর থেকে SMS-এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে এবং ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তর থেকেও জানা যাবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম তিন (Medical Admission Exam Top Three in Merit List)
স্থান (Position) নাম (Name) রোল নং (Roll No.) মোট প্রাপ্ত স্কোর (Total Score out of 200) ১ম (দেশসেরা) জাহাঙ্গীর আলম শান্ত ২৪১৩৬৭১ ১৯১.২৫ ২য় তাসনিয়া তৌফিক নাবিহা ২৪০৬৮৯৯ ১৯১ ৩য় তাহমিদুল আলম ১২০৯৩২৮ ১৯০.৭৫
জানা যায়, এবার সেরা তিনে অবস্থানকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় হওয়া তাসনিয়া তৌফিক নাবিহা সেকেন্ড টাইমের শিক্ষার্থী। বাকি দুজন প্রথমবারের মধ্যে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকা নির্ধারণ পদ্ধতি
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ও ডেন্টাল কোর্সে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত মেধাতালিকা নির্ধারণ করা হয় মোট ২০০ নম্বরের (Total 200 Marks) ভিত্তিতে। এই ২০০ নম্বর দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত:
- ১. লিখিত ভর্তি পরীক্ষার নম্বর: ১০০ নম্বর
- ২. এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর: ১০০ নম্বর
- উদাহরণ: যদি কোনো পরীক্ষার্থীর এসএসসি জিপিএ হয় ৫.০০ এবং এইচএসসি জিপিএ হয় ৫.০০:
- এসএসসি থেকে প্রাপ্ত নম্বর: ৫.০০ × ৮ = ৪০
- এইচএসসি থেকে প্রাপ্ত নম্বর: ৫.০০ × ১২ = ৬০
- মোট জিপিএ নম্বর: ৪০ + ৬০ = ১০০
- চূড়ান্ত মেধা স্কোর= লিখিত পরীক্ষার নম্বর(100) + জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর (100) =মোট 200 নম্বর
ফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী অবতীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৮.২১ শতাংশ। অন্যদিকে, ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১.৭৯ শতাংশ। এছাড়া, কঠোর তদারকির অংশ হিসেবে পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়মের দায়ে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে, নারী পরীক্ষার্থীরা পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন। এবার নারী পরীক্ষার্থী পাস করেছেন ৫০ হাজার ৫১৪ জন, যা মোট পাস করা পরীক্ষার্থীর ৬১.৮৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান নারী শিক্ষার্থীদের মেডিকেলের প্রতি আগ্রহ এবং সাফল্যের প্রমাণ বহন করে।
আরও পড়ুন:





