শাহজালালে ‘বডি-ওর্ন ক্যামেরা’র সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন

বডি-ওর্ন ক্যামেরার সম্প্রসারণ কার্যক্রম
দেশে এখন
0

হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ‘বডি-ওর্ন ক্যামেরা’র সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। যাত্রীদের সম্পত্তি রক্ষা, লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন এবং দায়ী স্টেশন বা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ কার্যক্রম চালু করেছে। আজ (রোববার, ২১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমান এয়ারলাইন্সের মিডিয়া বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিমান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিদেশ থেকে আগত অনেক যাত্রী এ ধরনের লাগেজ কর্তনের দায় সম্পূর্ণভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বা বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করে থাকেন। পাশাপাশি কিছু অসাধু চক্রও এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স রোববার থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ ওঠানামা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ‘বডি-ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (গ্রাহকসেবা) বদরুল হাসান লিটন এ সেবা প্রদান সম্প্রসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে লিটন বলেন, ‘আমাদের যাত্রীদের সম্পত্তি ও সেবার গুণগত মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বডি-ওর্ন ক্যামেরা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। এটি যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের পেশাদারিত্বকে আরও উজ্জ্বল করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের সার্বিক যাত্রীসেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিরন্তর যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবার মান নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, যাত্রীদের ব্যাগেজ সুরক্ষা ও লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০২৪ সালের জুন মাস থেকেই তার নিজস্ব ফ্লাইটের ব্যাগেজ ডেলিভারি কার্যক্রমে কর্মীদের দেহে বডি-ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করেছে। ইতিবাচক ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে, এখন বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা গ্রহণকারী সকল আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনকেও এই বডি-ওর্ন ক্যামেরাভিত্তিক নিরাপত্তা সেবা দেয়া হচ্ছে।

বিমান এয়ারলাইন্স লাগেজ কাটা নিয়ে যে অভিযোগ, তার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। বিশ্বের সকল বিমানবন্দরেই নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের কঠোর নীতি মেনে চলা হয়। নিষিদ্ধ ও অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কায় বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনবোধে তালা ভেঙে, চেইন কেটে কিংবা লাগেজের কোনো অংশ কর্তন করে নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি অপসারণ করে থাকেন। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, এ ধরনের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যাত্রী বা এয়ারলাইন্সের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় না।

এনএইচ