মোটিফে আগুন: অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেও পুলিশকে জানায়নি ঢাবি

শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন: অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেও পুলিশকে জানায় নি ঢাবি
শিক্ষা , ক্যাম্পাস
দেশে এখন
0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাকিব নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।

মুখে মাস্ক, গায়ে টি শার্ট আর গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট পরা ছেলেটি কে? নববর্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেয়ার পরই অপরাধীকে খুঁজছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছায়া তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে দেয়ার পরই আগুন দেয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী খালেদ হাসান।

তিনি বলেন, ‘ও চশমা ছাড়া কখনোই কিছু দেখতো না। চোখের মাত্রাতিরিক্ত সমস্যা ছিল। এ কারণে চশমা ও মাস্ক একবার খোলার পর ফুটেজে ওর চেহারা দেখা গেছে এবং শনাক্ত করা গেছে। ওই জায়গা থেকে এটা নিয়ে ডিপার্টমেন্টের গ্রুপে কথা হলো। এর স্ক্রিনশট শেয়ার হওয়ার পর সবাই নিশ্চিত করে এটা রুবেল ইসলাম রাকিব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারী ছিল রাকিব। বাড়ি চট্টগ্রাম।

শিক্ষার্থী খালেদ হাসান বলেন, ‘ও ফাস্ট ইয়ারে যখন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল তখন যদি ও রাজনীতি করে তাহলে ফ্যামিলি ছেড়ে দিতে হবে এমন কথা বলেছিল। তখন ও ফ্যামিলি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করছিল। ওর দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের ও সৈকতের অনুসারী ছিল।’

অভিযুক্ত রবিউল ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি পুলিশকে।

ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে প্রক্টরের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। এটা আসলে আমরা আমাদের বরাত দিয়ে জানিও না। এটা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানলাম। সেখানে শনাক্তের কথা বলা হয়েছে। তবে আমরা আমাদের মত করে তদন্ত চালাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি সে যেই হোক আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।’

শনিবার ভোররাতে দেয়া আগুনে শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়লেও ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায়।

এএইচ