সমাবেশে বক্তারা চার দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলছেন, এসব দাবি যৌক্তিক। অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত দাবিগুলো মেনে নেওয়া উচিত। দাবি পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের ঘোষণা যতক্ষণ না দেওয়া হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। এ সময় বক্তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানান।
তাদের চার দফা হলো— ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।
সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বক্তাদের বক্তব্যে শেষে বিভিন্ন বিপ্লবী গান সমবেত কণ্ঠে গাইছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ চলাকালে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, চার দফা দাবিতে তৃতীয়দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।