‘নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা পালানোর জায়গা পাবে না’

রাজনীতি
0

নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা পালানোর জায়গা পাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সংস্কারের নামে ভোটার তালিকায় বয়স কমানোর প্রস্তাবকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইউনূস সরকারের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোটের আয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৬ মাস পরে এসে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভেঙে ফেলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। এতে করে আওয়ামী লীগই লাভবান হবে।’

কথায় কথায় ভারত বিরোধিতা করলেও বর্তমান সরকারের অনেকেই সে দেশে সকাল বিকাল যোগাযোগ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়া তিনি বলেন, ‘হাসিনা তো পালানোর সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এখন নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তারা পালানোর জায়গা পাবে না।’

সংস্কারের নামে ভোটার তালিকায় বয়স কমানোর প্রস্তাবকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ইউনূস সরকারের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম না কমা, অফিস-আদালতে দুর্নীতি আগের মতো থাকায়, এখন প্রশ্ন উঠেছে তাদের দিয়ে কেমন সংস্কার হতে পারে।’

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে তিনি বলেন, ‘জনগণের মনে করে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় গেলে ভুলে যায়। তাই সবার আগে জনগণের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘৩১ দফা আজকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত সরব এবং বহুল চলমান একটি বিষয়। এটি বস্তুত পক্ষে সমগ্রহ বাঙ্গালী জাতির মনের আঙ্খাকার প্রতিফলন ঘটবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কারো কোনো দ্বিমত নেই। আমার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিস্থিত হলে অক্ষরে অক্ষরে প্রতিটি দফা বাস্তাবায়ন করবো। আমাদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধাকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তাহলে আমাদের জনগণের আঙ্খাকার প্রতিফল ঘটবে।’

জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমরা চূড়ান্তভাবে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ রাজপথে ছিলাম। জুলাই আগষ্টের যে অভ্যুত্থান, আমরা বিগত ১৫ বছর বিশ্বাস করতাম এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে।’

এ সময় ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএম