আজ (বুধবার, ৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া, আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এমন হুঁশিয়ারি দেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, গঠিত এই কমিশন চিন্তা-চেতনা এবং বিশেষ করে আল্লাহ তা’আলার আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে তারা প্রত্যাখ্যাত বলে আমরা ঘোষণা করছি। এদের রিপোর্ট বাড়তি করার কোনো ব্যাপার নেই। এদেরই আগে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক গোটা নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বের কথা বলে সমাজকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা কারা? কোরআনের সংস্কারের দাবি নিয়ে আমাদের সামনে এসেছেন। এরা এত দুঃসাহস কীভাবে দেখালো যে, বাংলাদেশে কোরআনের আয়াত এরা পরিবর্তন করে ফেলবে? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পেছনের কোনো শক্তি তাদের উস্কানি দিচ্ছে। এই মুহূর্তে এই উস্কানিটা কেন? এই সরকারের তো এটা এজেন্ডা হওয়ার কথা নয়। আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে। ওগুলো বাদ দিয়ে, ওগুলোর কোনো কূলকিনারা নেই; হঠাৎ করে এটা সামনে নিয়ে আসা কেন?’
‘ইসলামি শক্তির মুখোমুখি আরেকটা শক্তিকে দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে, জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য’- যোগ করেন তিনি।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুল রহমান আরও বলেন, ‘আমরা কমিশনকে মানি না। নারী কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। জামায়াত এই আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে। বুক পেতে দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ করে দিতেই বিভিন্নভাবে সুড়সুড়ি দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’