তিনি বলেন, কমিশন তার নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে আইন অনুযায়ী কাজ করে আসছে। ইশরাকের মেয়র ইস্যুতে কমিশন তার দায়িত্ব অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করেছে। এটি এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায়।
আদালতের রায়ে এক যুগ পর যখন জামায়াত ইসলামির নিবন্ধন ফিরে পাওয়া প্রায় চূড়ান্ত তখন অপেক্ষা নির্বাচন কমিশনের। একইসাথে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণায় লাগাতার আন্দোলন আর আইনি জটিলতা মাড়িয়ে আদালতের নির্দেশনা ছিল নির্বাচন কমিশনের দিকে।
তাইতো দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের আলোচিত ঘটনায় নিয়ে একাধিকবার বৈঠকে কমিশন। সবশেষ বুধবার বিকেলে ইসির ৬ষ্ঠ কমিশন সভায় উঠে আসে বিষয়গুলো।
আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানায় সব ধরনের আইন পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে কমিশন। জানান, দাঁড়িপাল্লাসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘উনারা আমাদের কাছে দুটি জিনিস একসঙ্গে চেয়ে একটা আবেদন করেছেন। কিন্তু এখন আমরা যেহেতু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, এখন আমাদের সচিব ওয়ার্কআউট করবেন। এমনও হতে পারে যে, তাদের নিবন্ধনটা যেহেতু কোর্টের আদেশ আমাদের হাতে আছে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে দিয়ে দিবো। আর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক হয়ে আসলে তখন তারা পাবেন।’
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা হবে কিনা এমন প্রশ্নে ইসি সানাউল্লাহ জানান, দায়িত্বের জায়গা থেকে কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছেন। ইসির কাজ শপথ পড়ানো নয়। এটি এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলতে পারি যে, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে গেজেট পর্যন্ত পাবলিশ করা। শপথের ব্যাপারটি স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনের ধারা ৭ এ পরিষ্কারভাবে বলা আছে, কারা এটি পরিচালনা করবে। আমাদের চিঠির মাধ্যমে আমরা যেটি বলেছি, এখানে যদি আইনি কোনো জটিলতা না থাকে বা অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি।’
ঈদের আগে ইসি সচিবালয়ের শেষ কর্ম দিবসের সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণসহ নানা বিষয়ে।