বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, ‘ফরিদপুর জেলার আওতাধীন সব ইউনিটের কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে গঠন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা বিএনপির সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।’
চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘ফরিদপুর মহানগরের আওতাধীন ওয়ার্ডসমূহের সম্মেলন জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।’

চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমরা সম্মেলনের জন্য চিঠি পেয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সম্মেলনের জন্য জেলা কমিটি আগামী ১৬ জুন সভা ডেকেছে। সেই সভাতেই সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিট কমিটিই সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হবে। বিগত দিনে যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যাতিত; হামলা-মামলার শিকার হয়েছে তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে কমিটি গঠনে।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু বলেন, ‘এ জেলার অধিকাংশ কমিটিই দীর্ঘদিনের। বহু আগেই সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিএনপির যারা নেতৃত্বে ছিলেন তারা নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেননি বা চেষ্টাও করেননি।’
এদিকে জেলা ও মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। চাঙা হয়ে উঠছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুক নেতারা। দীর্ঘদিন পর জেলা ও মহানগরের সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলাগুলোতে নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙাভাব লক্ষ্য করা গেছে।
স্বল্প সময়ে জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি এবং ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ফরিদপুর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা জানান, কেন্দ্র থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছে; সে মোতাবেক কাজ করার জন্যই ইতোমধ্যেই আমরা জেলার সভা আহ্বান করেছি। এই সভা থেকেই সিদ্ধান্ত নেব কী করে এবং কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ইউনিটের কমিটি গঠন করা যায়।’
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা বিএনপি দুটি বলয়ে বিভক্ত; যার একটি নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রয়াত বিএনপির মহাসচিব ওবায়দুর রহমানের মেয়ে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম। অপরটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেতা নায়াব ইউসুফ ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।