প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় যুবদলের পিন্টু ও লাকি আজীবনের জন্য বহিষ্কার

হত্যার সময়কার ক্যারিকেচার ফটো ও যুবদলের লোগো
রাজনীতি
6

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী যুবদলের দুই কেন্দ্রীয় নেতা রজ্জব আলী পিন্টু ও সাবাহ করিম লাকিকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ৯ জুলাই (বুধবার) বিকেল ৬টার দিকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রাস্তায় একদল সন্ত্রাসী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় যুবদলের দুই নেতার নাম এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে উঠে আসে।

আরও পড়ুন

ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ (শুক্রবার, ১১ জুলাই) রাতে যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। সব স্তরের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়।

বহিষ্কারাদেশ | ছবি: সংগৃহীত

এর আগে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ডিএমপির মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেপ্তাররা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২) এবং আরও দুই সহযোগী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যার পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতা ছিল।

আরও পড়ুন

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এনএইচ