নগরপিতা থেকে প্রশাসক—সব আমলেই রাজধানীর জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি

পানিবদ্ধ ঢাকার রাস্তা
দেশে এখন
বিশেষ প্রতিবেদন
0

একটু বৃষ্টিতেই ডুবে যায় রাজধানী। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় নগরীর বিভিন্ন সড়কে। নগরপিতা থেকে প্রশাসক— সব আমলেই আছে জলাবদ্ধতা নিয়ে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে; আশির দশকের পর থেকে এ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে প্রায় ৬টি মাস্টারপ্ল্যান। তবে এর কোনটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অবহেলায় রয়ে গেছে জলাবদ্ধতা।

মাত্র দুই-তিন ঘণ্টার বৃষ্টি, আর এতেই ডুবে যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা নিউমার্কেট এলাকা। ১৯৮৮ সালের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা মহানগরীর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসাকে দেয়া হয়। তখন থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে ঢাকা ওয়াসা ২৬টি খাল এবং ৩৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নালা দেখভাল করতো।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ওয়াসার অধীনে থাকা নালা ও খাল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে সংস্থাটি। তবে বারবার অভিভাবক পরিবর্তন হলেও রাজধানীর জলাবদ্ধতার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

চলতি বছর বৃষ্টিতে দক্ষিণ সিটির যেসব এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয়েছে; এরমধ্যে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট এবং পুরান ঢাকার আগা সাদেক সড়ক অন্যতম।

নায়েম সড়কের বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টি হলে পানি সরে যেতে সময় লাগে। আগের তুলনায় এখন আরও ধীরে পানি নিষ্কাশিত হয়। সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ আশা করছে এলাকাবাসী।

এমন পরিস্থিতিতে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আশির দশকের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬টি মাস্টারপ্ল্যান নেয়া হয়েছে। কিন্তু এর কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েই গেছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ  ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘এখানে শুধুমাত্র সিজন্যাল কাজ করা হয়। এ কাজগুলো দিয়ে জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর করা সম্ভব না। সমস্যা দূর করতে আরও ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন।’

তবে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন করেও সদুত্তর মেলেনি সিটি কর্পোরেশন থেকে। নানা পরিকল্পনার কথা বলেই দায় সারলো সংস্থাটি।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক, ডিএসসিসি এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার বলেন,  ‘আমাদের সমন্বিত যে কাজ আছে এগুলো এখন করা হচ্ছে। আমাদের পানির আউটলেট না বাড়লে ফ্লো বাড়বে না। তাই বুড়িগঙ্গার সাইডে আউটলেট ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছি।’

এফএস