বরিশাল প্রবাসী কাজল ১৪ বছর ধরে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। প্রবাস জীবনে চারটি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ করেছেন তিনি। নতুন করে পাসপোর্ট নবায়নে এসেছেন দুবাইয়ের কারামা বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও কনস্যুলার সেবা কেন্দ্রে। সরকার অনুমোদিত এ আউটসোর্সিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে মালয়েশিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফশওয়া গ্লোবাল। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কাজলের আবেদনটি গৃহীত হয় সেখানে। সময় ও ঝামেলা এড়াতে তার মতো প্রতিদিন দুবাই, সাজা ও আমান থেকে অনেকেই এখানে আসেন সেবা নিতে।
প্রবাসী কাজল বলেন, ‘এখানে এসেছি পাসপোর্ট রিনিউ করতে। এখানে আমি ১৪ বছর হলো কাজ করছি। মোট তিনবার আমি পাসপোর্ট রিনিউ করেছি।’
অন্যান্য প্রবাসীরা জানান, খুব দ্রুতই তাদের সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে এখানে।
আরও পড়ুন:
সেবা সহজ করতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রাথমিকভাবে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, বাংলাদেশি ভিসা, ডকুমেন্ট সত্যায়ন ও প্রবাসী কল্যাণ কার্ডের সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নানাধরণের সেবা দিয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার প্রবাসীকে। তবে অন্যান্য সেবা পেলেও ই-পাসপোর্ট সেবা না থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হয় এখানে আসা সেবাপ্রার্থীদের।
সেবাপ্রার্থীরা জানান, তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এখানে ই-পাসপোর্ট সেবা না থাকায়। এক জায়গা থেকে সবসুযোগ সুবিধা পেলে আরও সুফল পাবেন বলে জানান তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক সেবা দেয়া নিয়মিত রয়েছে। লোকবলের বিষয়টি মাথায় রেখে ই-পাসপোর্ট সেবার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা। তবে কিছু প্রক্রিয়াগত সীমাবদ্ধতায় এখনো চালু করা যায়নি এ সেবা।
দুবাই ফশওয়া গ্লোবাল অপারেশন ম্যানেজার মনির হোসাইন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিসগুলোর মধ্যে আছে এক্সটেনশন সেবা। দু’টি ক্যাটাগরিতে সেবা প্রদান করা হয় জেনারেল ক্যাটাগরি আর স্টুডেন্ট ও ওয়ার্কাসরদের জন্য। এছাড়াও ফরেন ন্যাশনাল যারা আছেন বাংলাদেশে ভিজিট করতে চায় তাদের জন্য ভিসা সার্ভিস।’
দুবাই ফশওয়া গ্লোবাল প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা গোলাম এম এ আর চিশতী বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট সেবাটি আপাতত পক্রিয়াধীন খুব দ্রুতই আমরা এ সেবা চালু করার জন্য প্রস্তুত আছি। অতিরিক্ত জনবল হ্যান্ডেল করার জন্য আমাদের লোকবল তৈরি করা আছে।’
বাংলাদেশ মিশনের সহযোগিতায় দুবাইয়ের বাইরে আউটরিচ ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু রয়েছে। প্রবাসীরা বলছেন, ফশওয়া গ্লোবালেও ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হলে একই ছাদের নিচে মিলবে সব কনস্যুলার সেবা।