'বাংলাদেশ হকি দলের এশিয়ায় শীর্ষ সারিতে থাকার সামর্থ্য আছে'

বাংলাদেশ হকি দলের এশিয়ায় শীর্ষ সারিতে থাকার সামর্থ্য আছে
এখন মাঠে
0

বাংলাদেশ হকি দলের এশিয়ায় শীর্ষ সারিতে থাকার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন কোচ মামুনুর রশীদ। হকির মৌসুমকে ৬-৭ মাসে উন্নীত করা গেলে ও নিয়মিত আন্তর্জান্তিক ম্যাচ আয়োজন করা গেলে হকিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেবে তরুণরা। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আবারও হকিতে সুদিন ফিরবে বলে মনে করেন দলীয় অধিনায়ক।

আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বসবে এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্ট। আসরকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছে টিম বাংলাদেশ।

আসরে বাংলাদেশের চোখ নিজেদের পঞ্চম শিরোপার দিকে। সে লক্ষ্যে ১৬ দিনের ক্যাম্প করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। চূড়ান্ত করা হয়েছে ১৮ সদস্যের দল।

দলে নতুন দুই মুখ থাকলেও ১৮ জনের বোঝাপড়া নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক পুস্কার খিসা মিমো। ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্টি থাকলেও ম্যাচ প্র্যাক্টিস নিয়ে অধিনায়কের কণ্ঠে ঝরেছে আক্ষেপ।

পুস্কার খিসা মিমো বলে, ‘কোনো দলের সাথে খেলতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কোচ আমাদের ফিটনেসের উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছে। এছাড়া আমরা বিমান বাহিনীর সাথে কিছু প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলেছি। আর আমাদের সবার সাথে সবার বন্ডিং ভালো।’

টুর্নামেন্টে প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কাজাখস্থান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া। তবে আসরে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ শক্তিশালী ওমান। তাদের জন্য আলাদা করে ছক কষছে বাংলাদেশ।

এএইচএফ কাপে নিয়মিত সাফল্য পেলেও, মহাদেশিয় পর্যায়ে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। কোচ-অধিনায়ক মনে করেন, শীর্ষসারিতেই থাকার সামর্থ্য আছে দলের। তবে প্রয়োজন সমর্থন আর পৃষ্ঠপোষকতা।

বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের কোচ আ ন ম মামুন উর রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার ৬ এর মধ্যে থাকার মতো টিম। আমাদের নাম্বার অব প্লেয়ার পাইপলাইনে তৈরি করতে হবে। এখন তো হকি সিজন হয়েছে দুই থেকে তিন মাস। এইটা সিজন যদি ৬ থেকে ৭ মাস করা হয় তাহলে প্লেয়াররা একটা ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবে।’

দেশের হকির জৌলুস হারিয়েছে অনেক আগেই। ঘরোয়া লিগে মনোযোগ বাড়ালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য নিয়মিত ধরা দেবে বলে মত সবার।

সেজু