মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধিকে যৌক্তিক বলে মনে করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন
দেশে এখন
এখন মাঠে
0

উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধিকে যৌক্তিক বলে মনে করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ (মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম জানান, জমি অধিগ্রহণ, রেট শিডিউল পরিবর্তনসহ প্রকল্পে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হওয়ায় ব্যয় বেড়েছে।

বাংলাদেশের সব উপজেলাতে মিনি স্টেডিয়াম করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয় বিগত আমলে। ওই প্রকল্পে ১৩১টি স্টেডিয়ামের জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রতিটির ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৫১ লাখ টাকা। বর্তমানে সেই খরচ ১৪ কোটি টাকার বেশি। এমন খবর প্রকাশিত হলে তা পরিণত হয় টক অব দ্যা টাউনে।

এমন খবরের প্রতিবাদ লিপিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুটি প্রকল্পের মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরেছে। মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব জানান, যৌক্তিক কারণেই বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়।

যুব ও ক্রীড়া সচিব মাহবুব উল আলম বলেন, ‘৫৩ লাখ টাকারটা ক্যাটাগরিটা ভিন্ন। প্রথম পর্যায়ে ছিল ৫১ লাখ, যেখানে আমাদের জমি অধিগ্রহণের কোনো বিষয় ছিল না। আর এখানে জমি অধিগ্রহণ থেকে অনেকগুলো কম্পোনেন্ট যুক্ত হয়েছে।’

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে স্টেডিয়ামগুলো সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছিলো। সেগুলোর অবকাঠামো ছিলো একতলা প্যাভিলিয়ন, টয়লেট ও মাঠ উন্নয়ন। বিপরীতে বর্তমান প্রকল্পটি হলো দ্বিতীয় পর্যায়ে। এ প্রকল্পের আওতায় ১২৩টি উপজেলা স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে, যার প্রতিটি গড় ব্যয় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এ বিপুল ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে জমি অধিগ্রহণ এবং ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি স্টেডিয়ামে আছে, গড়ে তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ, তিন তলার আধুনিক প্যাভিলিয়ন ভবন, এক হাজার ধারণ ক্ষমতার তিনশো ফুট দীর্ঘ গ্যালারি। সীমানা প্রাচীর , ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সংযোগ সড়ক এবং সোলার প্যানেল।

মাহবুব উল আলম বলেন, ‘২০১৮ সালের সিডিউলে এখানে উল্লেখ করা ছিল অনেকগুলো বিষয়ের কম্পোনেন্ট যেমন এখানে বাউন্ডারি ছিল না, যে কারণে বিভিন্ন ধরনের মিসইউজ হচ্ছে। যেভাবে আমরা মাঠকে সাজাচ্ছি গরু, ছাগলের হাট যদি বসানো হয় তাহলে কিন্তু মাঠের স্পেসটা থাকে না। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাউন্ডারিটা দেয়া হয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত আগ্রহে প্রকল্প পাস হয়েছে এমন খবরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলছে মন্ত্রণালয়।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘আর্থ সামাজিক অবকাঠামোর সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এটা পর্যালোচনা করে ৬৫ কোটি টাকা কমিয়ে দেয়। তাতে এক হাজার ২৭১ থেকে এক হাজার ২০৬ কোটি টাকা আসলো। এখন মোট ব্যয় এসেছে সে হিসেবে দুই হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা।’

প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তি বিশেষের একক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।

এছাড়া আগে অনেকগুলো স্টেডিয়াম নির্মাণের পর সেগুলোর মধ্যে বেশকিছু অব্যবহৃত থাকার যে অভিজ্ঞতা, তা যাতে নতুন স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রে নাহয় সেজন্যে নতুন স্টেডিয়ামগুলোর ব্যবহারের নীতিমালা করা হচ্ছে বলেও জানান যুব ও ক্রীড়া সচিব।

এসএস